দ্রব্য বলতে আমরা সাধারণত শুধু বস্তুগত সম্পদকে বুঝে থাকি । মানুষের অভাব মেটাবার ক্ষমতাসম্পন্ন বস্তুগত সব জিনিসকে আমরা দ্রব্য বলে থাকি। অর্থাৎ যে জিনিসের উপযোগ আছে, অর্থনীতিতে তা-ই দ্রব্য । দ্রব্যকে নানাভাবে শ্রেণিবিভক্ত করা যায় যেমন:-
অবাধলভ্য দ্রব্য : যে সমস্ত দ্রব্য বিনামূল্যে পাওয়া যায় তাকে অবাধলভ্য দ্রব্য বলে । এসব দ্রব্য প্রকৃতিতে অবাধে পাওয়া যায় এবং এর যোগান থাকে সীমাহীন । যেমন- আলো, বাতাস, নদীর পানি ইত্যাদি ।
অর্থনৈতিক দ্রব্য : যে সমস্ত দ্রব্য পাওয়ার জন্য মানুষকে মূল্য প্রদান করতে হয় তাকে অর্থনৈতিক দ্রব্য বলা হয় । এদের যোগান সীমাবদ্ধ থাকে । যেমন- খাদ্য, বস্ত্র, বই, কলম, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি ।
ভোগ্য দ্রব্য : ভোগ বা ব্যবহারের মাধ্যমে যে সমস্ত দ্রব্যের উপযোগ নিঃশেষ করা হয় তাদেরকে
ভোগ্য দ্রব্য বলে । যেমন, গাড়ি, বস্ত্র ইত্যাদি ।
স্থায়ী ভোগ্য দ্রব্য : যে সমস্ত ভোগ্য দ্রব্য দীর্ঘকাল ধরে ভোগ করা যায়, তাকে স্থায়ী ভোগ্য দ্রব্য বলে । যেমন- ফ্রিজ, গাড়ি, ঘরবাড়ি, জমি, খেলার মাঠ ইত্যাদি ।
অস্থায়ী ভোগ্য দ্রব্য : যে সমস্ত ভোগ্য দ্রব্য স্বল্পকালে ভোগ করা যায় এবং কোনো ক্ষেত্রে একবার মাত্র ভোগ করা যায়, তাকে অস্থায়ী ভোগ্য দ্রব্য বলে । যেমন- খাদ্য, বস্ত্র, তরিতরকারি ইত্যাদি ।
মধ্যবর্তী দ্রব্য : যে সমস্ত উৎপাদিত দ্রব্য সরাসরি ভোগের জন্য ব্যবহার না করে উৎপাদনে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তাকে মধ্যবর্তী দ্রব্য বলে । মধ্যবর্তী দ্রব্য চূড়ান্ত উৎপাদনে নিঃশেষ হয়ে যায় । যেমন, কাঁচামাল, রসগোল্লা তৈরির জন্য ব্যবহৃত দুধ ও চিনি মধ্যবর্তী দ্রব্য।
চূড়ান্ত দ্রব্য : যে সকল দ্রব্য উৎপাদনের পর সরাসরি ভোগে ব্যবহৃত হয়,তাদেরকে চূড়ান্ত দ্রব্য বলা হয় । যেমন- পাউরুটি, চেয়ার ইত্যাদি ।
মূলধনী দ্রব্য : যে সমস্ত উৎপাদিত দ্রব্য, অন্য দ্রব্য উৎপাদনে সাহায্য করে তাকে মূলধনী দ্রব্য বলে । যেমন- যন্ত্রপাতি, কারখানা, গুদামঘর ইত্যাদি। মূলধনী দ্রব্য বারবার উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত হয়।
মূলধনী দ্রব্য আবার মূলধনী দ্রব্য উৎপাদনেও ব্যবহৃত হয় ।
পণ্য : যে সব দ্রব্য ও অবস্তুগত সেবা উপযোগসম্পন্ন এবং বিক্রয়যোগ্য, তাদেরকে পণ্য বলে। সকল দ্রব্য পণ্য
নয়। কিন্তু সকল অর্থনৈতিক দ্রব্যই পণ্য। সকল সেবা পণ্য নয়, কিন্তু সকল অর্থনৈতিক সেবাই পণ্য ।
Read more